hsc

শিল্পের গ্যাসীয় বর্জ্য ও বায়ুদূষণ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK

শিল্পের গ্যাসীয় বর্জ্য ও বায়ুদূষণ

গ্যাসীয় বর্জ্যের প্রধান উৎস

  • শিল্প কারখানা: সিমেন্ট, ইস্পাত, রাসায়নিক এবং তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী শিল্প থেকে বিভিন্ন গ্যাস নিঃসরণ হয়।
  • জ্বালানি পোড়ানো: কয়লা, তেল, এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার।
  • উৎপাদন প্রক্রিয়া: অ্যামোনিয়া, ক্লোরিন, সালফার ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন।

গ্যাসীয় বর্জ্যের ধরন

  1. কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): গ্রিনহাউস গ্যাস, যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বৃদ্ধি করে।
  2. কার্বন মনোক্সাইড (CO): মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
  3. সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂): অ্যাসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ।
  4. নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx): ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে।
  5. মিথেন (CH₄): উচ্চ তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস।
  6. ভলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ডস (VOC): বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তরের ক্ষতি করে।

বায়ুদূষণের প্রভাব

  • মানবস্বাস্থ্য: শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগ এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
  • পরিবেশ: গ্লোবাল ওয়ার্মিং, ওজোন স্তর ক্ষতি এবং অ্যাসিড বৃষ্টি।
  • জলবায়ু পরিবর্তন: বায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
  • জীববৈচিত্র্য ক্ষতি: দূষণের কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষতি।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  1. পরিষ্কার প্রযুক্তি ব্যবহার: শিল্প উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ।
  2. দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র:
    • স্ক্রাবার: সালফার ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাস অপসারণ।
    • ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রিসিপিটেটর: বায়ুর মিহি কণা ধরা।
  3. বিকল্প জ্বালানি: নবায়নযোগ্য শক্তি, যেমন সৌর ও বায়ু শক্তি ব্যবহার।
  4. নির্গমন সীমা নির্ধারণ: পরিবেশ আইন ও নীতি প্রয়োগ।
  5. বনায়ন: গাছ লাগিয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ বৃদ্ধি করা।

শিল্পের গ্যাসীয় বর্জ্যের নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

Content added By
Promotion